চলতি ২০২৩ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে ৫ মে শুক্রবার। এই গ্রহণ দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও। এবারের গ্রহণ হবে পেনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ। পৃথিবী চাঁদের থেকে অনেক বড়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক উপগ্রহের থেকে পৃথিবীর ছায়াও অনেক বড়। এই কারণে সূর্যগ্রহণের থেকে চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর বেশি অংশে দৃশ্যমান হয়। ৫ মে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশে দৃশ্যমান হওয়া উচিত যেখানে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ দিগন্তের উপরে থাকবে।
এদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, চন্দ্রগ্রহণ যেখানে দেখা যাবে সেই তালিকায় অ্যান্টার্কটিকা, এশিয়া, রাশিয়া, আফ্রিকা এবং ওশেনিয়া মহাদেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ আকাশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে দৃশ্যমান হবে। এটি সবথেকে বড়ো গ্রহণের সময় দিগন্তের প্রায় ৪০ ডিগ্রি উপরে থাকবে।
চাঁদকে ৫ মার্চ রাত সোয়া নয়টা থেকে ১ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত পৃথিবীর ছায়ার মধ্য দিয়ে গেলে এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে। কিন্তু এবারের চন্দ্রগ্রহণ হল পেনামব্রাল। আগামী ৫ মে যখন চন্দ্রগ্রহণ হবে, তখন চাঁদ সূর্যের মতো পৃথিবীর ঠিক বিপরীতে থাকবে না। এর মানে হল এই গ্রহণ এমনটা হবে না যে, যেখানে সূর্যের আলো পৃথিবী দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হবে। ৫ মে গ্রহণের সময় পূর্ণ চাঁদ পৃথিবীর ছাতার দক্ষিণে বা তার অন্ধকার ছায়ায় থাকবে।
এর ফলে চাঁদ সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে, তার উজ্জ্বলতা হ্রাস পাবে। আর চাঁদের বেশিরভাগ চাকতি কিছুটা হলেও আলোকিত থাকবে। যেহেতু ৫ মে গ্রহণ চাঁদের উজ্জ্বলতাকে অল্প পরিমাণে কমিয়ে দেবে, তাই এটি একটি সূক্ষ্ম ঘটনা হতে চলেছে, যা আপনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি না থাকলে পর্যবেক্ষণ করা একটু কঠিন হবে।
৫ মের এই পেনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের উপর সূক্ষ্ম প্রভাব ফেলবে। এর মানে হল যে, ঘটনাটি প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাবে যদি না আপনি গভীর মনোযোগ দেন। কিন্তু সূর্যগ্রহণের বিপরীতে, চন্দ্রগ্রহণ আপনার খালি চোখে সরাসরি দেখতে পাবেন, তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। চাঁদের গ্রহণ দেখতে খালি চোখে কোনো বাধাই নেই!